চবি শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের বিবাদমান দুটি পক্ষের মধ্যে সোমবারের সংঘর্ষের একদিন পর বুধবার রাত সোয়া ১২টার দিকে আবারও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর বিশৃঙ্খলার দায়ে চবি শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সোহরাওয়ার্দী হলের চারটি কক্ষে ভাঙচুর হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হওয়ার পরপরই চবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পাশাপাশি তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজনকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
তিনি জানান, বিশৃঙ্খলার দায়ে চবি ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর জন্য তাদের তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনো বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেয় না। তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ইতিহাস বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ আরাফাতকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয় বলে অভিযোগ করে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের অনুসারীরা। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিতে থাকে উভয় গ্রুপের কর্মীরা। এরই রেশ ধরে বুধবার গভীর রাতে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিবাদমান দুই গ্রুপের কর্মীরা।
বিবাদমান গ্রুপ দুটি হলো- চবির শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইন ও বিজয়। সিক্সটি নাইন নিয়ন্ত্রণ করে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু এবং বিজয় নিয়ন্ত্রণ করে প্রাক্তন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, সোমবারের ঘটনার রেশ ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করে। তারা সোহরাওয়ার্দী হলের চারটি রুম ভাঙচুর করে। প্রায় আড়াই শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
Related News

দেশের জনগণ ভোট দিবে না জেনেই বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে-ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের জনগণ ভোট দিবে না জেনেই বিএনপি ইউনিয়নRead More

হরিণাকুন্ডুতে আগুনে পুড়লো পান বরজ, ক্ষতি ৪ কোটি!
ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের শিতলী গ্রামের ৪৫ জন কৃষকের পান বরজে আগুনে লেগেRead More
Comments are Closed