নাশকতার ৩ মামলায় ফখরুলকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ১৫ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের সময় পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ্ আপিলে গেলে আপিল বিভাগ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। এবং জামিনের মেয়াদ শেষে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। এছাড়াও হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন।
হাইকোর্ট গত বছরের ২৪ নভেম্বর রুল নিষ্পত্তি করে ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে তিনমাসের জামিন দেন। ফখরুলের আইনজীবীদের দাবি, রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে সাধারণত মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন হয়। কিন্তু এখানে মাত্র তিনমাসের জামিন দেওয়া হয়েছে। এ কারণে হাইকোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মির্জা ফখরুল গত ০৭ জানুয়ারি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এ আবেদনের শুনানি চলাকালে সিলেটে বিচার বিভাগ নিয়ে মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেছেন বলে নজরে এলে তার কাছে ব্যাখ্যা চান পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ।
গত ০৭ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বিচার বিভাগ নিয়ে এ মন্তব্য করেছিলেন ফখরুল। সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার বিভাগেরও স্বাধীনতা নেই’।
ফখরুলকে এ বক্তব্যের বিষয়ে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু ২২ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীরা ব্যাখ্যা দাখিল করতে গেলে আদালত মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষরিত হলফনামা চান। ওইদিন বিকাল তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হয়ে হলফনামা করেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি এ হলফনামা দাখিলের সময় আদালত মির্জা ফখরুলের বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দেখতে পান। এরপর এ বিষয়ে ফখরুলের কাছে হলফনামা আকারে ফের ব্যাখ্যা চান আপিল বিভাগ।
আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন মো. আসাদুজ্জামান, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সগীর হোসেন লিওন। সগীর হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই মির্জা ফখরুল হলফনামার মাধ্যমে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
Related News

লকডাউনে‘মুভমেন্ট পাস’ পেতে অনলাইনে আবেদন করতে হবে
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপি কঠোর বিধিনিষেধ চালু করতে যাচ্ছে সরকার।Read More
ঝিনাইদহে মাঠ আর বাসাবাড়িতে ব্যাপক পানির সঙ্কট!
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহ জেলার সকল মাঠের বোরো ক্ষেত গুলো কৃষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কিন্তুRead More
Comments are Closed