শীতেও সতেজ ত্বক

সবাই চায় সুন্দর ও মসৃণ ত্বক। আর শীতে এই সুন্দর ত্বকই যখন শুষ্ক ও মলিন হয়ে পড়ে তখন নিজেকে আর ভালো লাগে না। কোনো কাজে ঠিক মতো মনও বসতে চায় না। শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্ন কীভাবে নেবেন, তার পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন নওশীন শর্মিলী
শীতের সময় ত্বক থেকে ময়েশ্চারাইজার কমে গেলেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের। আপনি চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারেন। শীতে বাজারে প্রচুর সবজির আধিক্য দেখা যায়। প্রোটিনের পাশাপাশি সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন—ভাত, রুটি কমিয়ে দিলে দেহ, মন ও ত্বকের সতেজ ভাব বজায় থাকে। সকালে একটা রুটির ভাঁজে দিতে পারেন নানা পদের সবজি সিদ্ধ, শুধু একটু লবণ আর গোল মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে। দুপুরে ভাত, রুটির পরিমাণ কমিয়ে টেবিলে নানা পদের সালাদ, শাক, সবজি সঙ্গে এক বা দু’ টুকরা মাছ বা মাংস খেলে দেহ-মন সতেজ থাকে। সন্ধ্যায় স্যুপ, দুধ, একটু মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার দিয়ে সেরে ফেলতে পারেন আপনার ডিনার। টক জাতীয় ফল যেমন জলপাই, কামরাঙা, জাম্বুরা, কমলা, বড়ই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি মিটায়, সঙ্গে মুখে এনে দেবে রুচি। দাঁত ও মাড়ির সুস্থতা, ত্বক, চোখ, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ফল ও সবজির তুলনা নেই। এছাড়া শীতে ধুলাবালির পরিমাণ একটু বেশি থাকে। কিন্তু রাস্তায় সবাইকে বের হতেই হয়। এই ধুলাবালির হাত থেকে রেহাই পেতে আপনাকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাইরে বের হলে মাথায় স্কার্ফ পরতে পারেন। চুল প্রতিদিন ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললে ধুলাবালির হাত থেকে যেমন রক্ষা করা যায়, তেমনি খুসকিজনিত ঝামেলাও কমে। প্রতিদিন অন্তত ১ থেকে ২ বার ভালো করে চুল আঁচড়ান। ১৫ দিনে একদিন চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। শীতে প্রতিদিন গোসল করলে শরীর-মন ভালো থাকে, ধুলাবালি থাকে না। গোসলের পরে আর রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চার জাতীয় লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়ার লক্ষণ এই শীতে বেশি দেখা যায়। ঘুমানোর আগে গ্লিসারিনের সঙ্গে পানি বা গোলাপজল মিশিয়ে লাগালে এই ফেটে যাওয়া গোড়ালি ফিরে পাবে মসৃণতা। ঘরে বসে সেরে নেওয়া যায় মেনিকিওর বা পেডিকিওর। পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহারে ঠোঁট, হাত, পা, ত্বক মসৃণ থাকে। সেইসঙ্গে আপনাকে সবসময় মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। প্রতিদিন গোসল করুন। যথাসম্ভব হাঁটুন। সকালের মিষ্টি রোদে খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে ঘুরে বেড়াতে পারেন। এতে আপনার মন ও শরীর ঝরঝরা হয়ে উঠবে।
টি প স
l ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম দিনে কম করে হলেও দু’বার লাগান।
l হালকা গরম পানিতে গোসল ও ত্বকের ধরন অনুযায়ী গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করুন।
l শীতে পা ফাটার ঝামেলাও কম নয়। ফাটা ত্বকে ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে হাত ও পায়ের গোঁড়ালিতে মাখুন। বিশেষভাবে রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করা উত্তম।
l ঠোঁট নিয়মিত পরিষ্কার করে ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে পারেন। এ সময় ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার না করাই উত্তম। তবে চ্যাপস্টিক ও লিপগ্লস উপকারী।
l অলিভ অয়েল ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী। দিনে একবার অন্তত ব্যবহার করুন। বডি লোশনও ব্যবহার করা যেতে পারে।
l গোসলের পানিতে বিভিন্ন ভেষজ দ্রব্য বা সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করতে পারেন।
l সপ্তাহে একবার ক্র্যাকার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা জরুরি।
l মাসে দু’বার মেনিকিওর, পেডিকিওর এবং একবার ফেসিয়াল করা প্রয়োজন।
l নিয়মিত সুষম খাদ্য, প্রচুর শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা উত্তম।
l ছোঁয়াচে চর্মরোগে আক্রান্তদের সংস্পর্শ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উত্তম। অ্যালার্জি, অ্যাকজিমা জাতীয় ত্বকের রোগ হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
Related News

ঝিনাইদহে ভাষা সৈনিক মুসা মিয়ার স্বরণে সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে মরহুম জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া’র রুহের মাগফেরাত কামনায় স্বরণ সভাRead More

শীতে ত্বকের যত্ন
শীতে ত্বকের যত্নের শুরুতে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডোRead More