খুনিদের পালানোর ভিডিও ফুটেজ গোয়েন্দাদের হাতে

কলাবাগানের নিজ বাসায় হত্যাকাণ্ডের শিকার জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়ের খুনের ঘটনায় ক্লোস সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এখন গোয়েন্দদের হাতে।
মঙ্গলবার রাতে ওই ফুটেজ সংগ্রহ করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ফুটেজটি পাশের একাটি বাড়ির সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা বলে জানা গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের ধারণা ছিল ওই বাসায় সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি। তবে পাশের বাড়ির ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় (সিসি টিভি) ধারণকৃত ফুটেজ পাওয়া যায়। এতে কয়েকজনের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা গেছে। ওই ব্যক্তিরাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। বিকেল ৫টা ৫৯ মিনিট ১ সেকেন্ডের ফুটেজে হাতে ব্যাগ থাকা একজনকে দেখা যায়। এর মাত্র ৫ সেকেন্ড পরেই তিনজনকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়, তাদের কাঁধেও ছিল ব্যাগ। তার কয়েক সেকেন্ড পর আরো একজন দৌড়ে পালায়। এর মাঝে মোটরসাইকেলেও একজনকে দেখা গেছে। তবে মোটরসাইকেলে থাকা ওই ব্যক্তির সঙ্গে অপর পাঁচজনের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মাত্র ৩০ সেকেন্ড আগেই জুলহাজের বাসার পাশ দিয়ে কলাবাগান থানার একটি গাড়িও যেতে দেখা যায়। ওই গাড়ি থেকেই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মমতাজ এক দুর্বৃত্তকে জাপটে ধরলে সে ব্যাগ ফেলে মমতাজকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ হোসেন বলেন, ‘দেখি নীল গেঞ্জি পরা অন্তত পাঁচজন ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সি যুবক ছেলে ‘এনা কিংডম’ (কাছের একটি ভবন) পার হচ্ছে। ওরা নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করছিল। এলাকার কয়েকটা ছেলে ধর ধর বলে চিৎকার করে এগিয়ে গেলে ওরা অস্ত্র বের করে গুলি ছোড়ে। গুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ওই যুবকরা কোন দিকে গেছে, তা আর দেখা যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে এবং পুলিশ পৃথক আইনে দুটি মামলা করে। মামলা দুটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করবে বলে জানা গেছে।
Related News

ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব-প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যখন করেছি তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।Read More

একুশে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা
এ বছরের একুশে পদক দেওয়া হবে শনিবার। বেলা ১১টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক হস্তান্তরRead More
Comments are Closed