বৈশাখে সাজুক বাড়ি

হাতে আর সময় নেই বেশি। ক্যালেন্ডারের পাতা জানান দিচ্ছে এই বুঝি বৈশাখ এলো…। নববর্ষের প্রথম দিনটাতে নিজেদের সাজাব নতুন করে। শুধু আমরা নিজেরা সাজব? সাজবেনা আমাদের ঘরবাড়ি?
নতুন বছরে ঘর-বাড়ি সাজাতে প্রস্তুতি শেষ অনেকের। যারা এখনো উদ্যেগ হাতে নেননি, এ লেখায় চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন একটুখানি।
বাড়িতে অতিথি আগমনে প্রথমেই পদস্থলি পড়বে আপনার বসার ঘরটিতে। এ ঘরটি সাজানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন মাটির শোপিস, প্রদীপ, নকশি কাঁথা, হাতপাখা ইত্যাদি। মেঝের কোনো অংশে আঁকা যেতে পারে আলপনা। মেঝেতে বসার আয়োজনও করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে শীতল পাটি, শতরঞ্জি, নকশি কাঁথা ইত্যাদির ওপর রঙিন কুশন ছড়িয়ে দিয়ে তৈরি করে নিন এই আয়োজন।
হালকা কোনো রঙের স্বচ্ছ পর্দা লাগান। ঘরের কোনাগুলো সবুজ গাছ আর মাটির শোপিস দিয়ে সাজাতে পারেন। বিভিন্ন কোনায় রাখতে পারেন ল্যাম্পশেড। ভিন্নতা আনতে ঘরের এক কোনায় তিনটা ল্যাম্পশেড ঝুলিয়ে দিতে পারেন। প্রথমটি ছাদ থেকে ৭ ফুট, দ্বিতীয়টি সাড়ে ৬ ফুট ও তৃতীয়টি ৬ ফুট নিচে ঝুলবে। এই সময়ে ঘরের সাজে লাল, সাদা, নীল, হলুদ, সবুজ রঙগুলো প্রাধান্য দিতে পারেন।
এরপর আসি খাবার ঘরের দিকে। এই ঘরের প্রধান অংশ হচ্ছে খাবার টেবিল। টেবিলটিকে সাজিয়ে তুলুন দেশীয় উপাদান দিয়ে। এছাড়া বাঁশ ও বেতের নান্দনিক ট্রের ব্যবহার আপনার বৈশাখের আয়োজনে বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করবে। টেবিল রানারটি শীতল পাটি, বাঁশ অথবা নকশি কাঁথার তৈরি হতে পারে। রানারের ওপর মাটির মোমদানি, বাঁশের তৈরি গ্লাস স্ট্যান্ড ও মাটির ফুলদানিতে কিছু তাজা ফুল দিয়ে সাজালে টেবিলটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এই ঘরের পর্দা হিসেবে বাঁশের চিক ব্যবহার করলে ভালো লাগবে। এই ঘরের দেয়ালে টেরাকোটা ঝোলালে ঘরটিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।
শোবার ঘরে বিছানার চাদর ও পিলো কভারে ব্যবহার করুন উজ্জ্বল রঙ। চাদরের সঙ্গে মিলিয়ে নিন পর্দার রঙ। কাপড়ের ওপর আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, লোকশিল্পের নানা মোটিফ থাকতে পারে। ঘরের পর্দা, বিছানার চাদর, কুশন কভার, টেবিল ক্লথ, টেবিল রানার ইত্যাদিতে দিতে পারেন রঙের ছোঁয়া। কাপড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আদ্দি, খাদি, সুতি, ভয়েল ইত্যাদি বেছে নিতে পারেন।
বিভিল্প আকৃতির মাটির হাঁড়িতে নানা ধরনের ফুল এবং ইনডোর প্ল্যান্টসের ব্যবহার সুগন্ধি এবং সবুজের ছোঁয়া মন ভরিয়ে দেয় প্রশান্তিতে। ছোট-বড় কিছু পটারি দিয়ে সাজাতে পারেন সিঁড়িঘরকে। বাড়ির সদর দরজার দেয়ালে টাঙিয়ে দিতে পারেন মাটির, বেতের অথবা কাঠের কারুকার্য করা আয়না।
ঘর সাজাতে হলে দামি উপকরণ লাগবে, এমন ধারণা অনেকেরই। এটা ঠিক নয়। ঘর সাজাতে চাই আন্তরিকতা ও নিজস্বতা। পুরো বাড়িতে রাখতে পারেন সবুজের স্নিগ্ধতা। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের গাছ প্রশান্তি এনে দিবে আপনাকে।
একটু ঘুরে-ফিরে সংগ্রহ করতে পারেন মাটির পট, প্রদীপ, ধাতব ও বাঁশের মুখোশ এবং বাঁশের মগ। মাটির পুতুল, গ্রামীণ হুঁকো, হাতে বানানো মুখোশ, ওয়াল ম্যাট, বাঁশের তৈরি ফুলদানি, আয়না, বেতের টেবিল, টেবিল ল্যাম্প, ঝাড়বাতি ইত্যাদিও করতে পারেন সংগ্রহ। আড়ংসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে পাবেন কাঁসা-পিতলের নানা ধরনের শোপিসের মধ্যে বিভিন্ন জীবজন্তুর প্রতিকৃতি, রিকশা, ফুলদানি, ঘটি, গ্লাস, কলস, পানের বাক্স, মোমদানি, ফুলের টব, দেয়ালে সাজানোর থালা। অ্যান্টিক এবং ব্রাশ অ্যান্টিক দুটোই পাওয়া যায়।
Related News

ঝিনাইদহে ভাষা সৈনিক মুসা মিয়ার স্বরণে সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে মরহুম জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া’র রুহের মাগফেরাত কামনায় স্বরণ সভাRead More

শীতে ত্বকের যত্ন
শীতে ত্বকের যত্নের শুরুতে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডোRead More
Comments are Closed