সকল মা রত্নগর্ভা: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরি বলেছেন, সকল মা-ই রত্নগর্ভা মা।
রোববার ঢাকা ক্লাবে আন্তর্জাতিক মা দিবসে আজাদ প্রোডাক্টস অ্যাওয়ার্ড ২০১৬ রত্নগর্ভা মা সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে ৩৪ জন মাকে রত্নগর্ভা মায়ের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এছাড়া একজন বাবাকে ‘মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল’ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
স্পিকার বলেন, ‘যারা আজ রত্নগর্ভা মায়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন, শুধু তারাই রত্নগর্ভা মা নন, সকল মা হচ্ছেন রত্নগর্ভা মা। একজন মা যা কিছু করেন সবই তার সন্তানের মঙ্গলের জন্য করেন। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্তানের লালন পালনের সব কিছুতে মায়ের অবদান। মায়ের জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে সন্তান যাতে ভাল থাকে সুখে থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মায়েরা এখন স্বাবলম্বী হচ্ছেন। অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। রোজগার করছেন। তবে এটা মা তার নিজের জন্য করেন না। করেন সন্তানের লোখাপড়ার খচর জোগানো জন্য, সন্তানকে ভাল রাখার জন্য, সন্তানকে সু-সন্তান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘শুধু মায়েদের জন্য নয়, সকলের জন্য আজ একটি বিশেষ দিন। এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। এ অনন্য আয়োজনের জন্য আজাদ প্রোডাক্টসকে অভিনন্দন।’
স্পিকার বলেন, ‘মাকে সবসময় কাছে পাই তাই মায়ের অবদানের বিষয় বুঝতে পারি না। অভাব উপলব্ধি করতে পারি না। কিন্তু যখন মা থাকেন না তখন আমরা তার শূন্যতা অনুভব করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে প্রতিটি দিনই মা দিবস।’
এ অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রত্নগর্ভা মায়েদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। সাধারণ বিভাগে রত্নগর্ভা মায়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন ২৫ জন। তারা আমেনা বেগম, জামিলা আক্তার, হোসনে আরা বেগম জ্যোৎস্না, মোছা. হোসনে আরা বেগম, সুফিয়া খানম, রেহানা সামাদ, সুলতানা রোকেয়া আখতার, জাহান আরা আহম্মদ, রওশন আরা খাতুন, নূরে আলম মর্ত্তুজা বেগম, প্রভাবতী চাকমা, শ্রীমতি মঞ্জু রানী মিস্ত্রী, শিখা বড়ুয়া, যোসপিন কোড়াইয়া, সৈয়দ শাহান আরা, সালিমা খাতুন, খুরশীদ জাহান, খোরশেদ আরা বেগম, লুৎফুন নাহার বেগম, লতিফা বেগম, মাকছুদা বেগম, মোছা. আনোয়ারা বেগম, হাসিনা বানু, মায়মুনা বেগম ও ইউ. কে. এম. ফরিদা বেগম।
বিশেষ বিভাগে স্বীকৃতি পেয়েছেন নয় জন। তারা হলেন, মঞ্জু আরা, কামরুন নিসা দুলাল, অধ্যক্ষ তহুরা আক্তার খাতুন, শিরিন হক, সুলতানা রাজিয়া (নাসিম), জিন্নাতুন নেসা, রেজিয়া বেগম, আফরোজা বেগম ও সেতারা বেগম।
মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল স্বীকৃতি পেয়েছেন ড. ইনামুল হক। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আমি আমার সন্তানদের সুশিক্ষিত করে তুলতে পেরেছি। হয়তো সে জন্যেই আমাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।’ তিনি সবার সন্তানকে সু-সন্তান হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান।
আজাদ গ্রুপের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী, ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহম্মেদ, ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ শাহেদ রেজা, নাট্য ব্যক্তিত্ব লাকি ইনাম, আরটিভির সিইও আশিকুর রহমান। এ অনুষ্ঠানে রোকেয়া প্রাচী মাকে নিয়ে একটি কবিতা আবৃতি করেন।
Related News

ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব-প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যখন করেছি তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।Read More

একুশে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা
এ বছরের একুশে পদক দেওয়া হবে শনিবার। বেলা ১১টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক হস্তান্তরRead More
Comments are Closed