কে এই মতিন?

যক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে সমকামীদের নৈশক্লাবে হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। আফগান বংশোদ্ভূত ওমর মতিন ফ্লোরিডাতেই বাস করতেন। ২০১৩ সালে এফবিআই প্রথম তার সম্পর্কে জানতে পারে।
মতিনের বাবা-মা দুজনেই আফগানিস্তান থেকে আসা। তারা সবাই মার্কিন নাগিরকত্ব পেয়েছেন। নিউইয়র্কে জন্ম নেয়া ২৯ বছর বয়সী মতিন পরে ফ্লোরিডায় এসে বসবাস শুরু করেন। ২০০৯ সালে ফোর্ট পিয়ের্সে সিতোরা ইউসুফাই নামে এক নারীকে বিয়ে করেন মতিন। অনলাইনে তাদের দুজনের পরিচয় হয়েছিল। তবে বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় দুজনের বিচ্ছেদ হয়। প্রাক্তন স্ত্রীর দাবি, মতিন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং প্রায়ই তাকে প্রহার করতেন। ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া সিতোরা বলেছেন, ‘ সে স্থির প্রকৃতির ছিলো না। সে আমাকে প্রহার করতো। বাড়িতে এসেই কাপড় ধোয়া হয়নি কিংবা এ জাতীয় কাজের জন্য আমাকে সে পেটাতে শুরু করতো।’মতিন ধর্মেকর্মের কাছে খুব একটা ঘেষতো বলেও জানান সিতোরো। তবে সে নিয়মিত জিমে যেতো।
পেশায় মতিন ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। ২০০৭ সালে তিনি নিরাপত্তারক্ষী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জিফোরএসে যোগ দেন। নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করার সুবাদে মতিন সবসময় অস্ত্র বহন করতেন।
এফবিআইয়ে স্পেশাল এজেন্ট রন হপার জানান, সহকর্মীরা মতিনের আইএস সঙ্গে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অভিযোগ করলে ২০১৩ সালে প্রথম তারা তার সম্পর্কে জানতে পারেন। ওই সময় এফবিআই মতিনকে দুইবার জেরা করে। তবে কোনো প্রমাণ না পেয়ে তদন্তের ইতি টানা হয়। ২০১৪ সালে আবার মতিনকে জেরা করে এফবিআই। ওই সময় মনিরের সঙ্গে সিরিয়ায় আত্মঘাতী হামলাকারী মার্কিন নাগরিক মনির মোহাম্মদ আবু সালহার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। তদন্তে এফবিআই আবু সালহার সঙ্গে মতিনের ‘তাৎপর্যপূর্ণ সম্পর্ক’ না পেয়ে তদন্তের ইতি টানে। এফবিআইয়ের নজরদারি সত্ত্বেও মতিনের নাম সন্ত্রাসী তালিকায় ছিলো না।
আগ্নেয়াস্ত্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্রেভর ভেলিনর জানিয়েছেন, মতিন গত সপ্তাহে আইনসম্মতভাবে দুটি অস্ত্র কিনেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এই অস্ত্র দিয়েই শনিবার রাতে নাইটক্লাবে হামলা চালিয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টার দিকে অরল্যান্ডোতে সমকামীদের নাইটক্লাব ‘পালসে’ বন্দুক হামলা চালায় ওমর মতিন। এতে নিহত হয়েছে ৫০ জন। আহত হয়েছে আরো ৫৩ জন। এর আগে ২৯ বছরের মতিন নাইটক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে শুরু করে এবং কিছু লোককে জিম্মি করে। প্রায় তিন ঘন্টা পর পুলিশ জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য নাইটক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করলে মতিনের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় মতিন। হামলার আগে মতিন পুলিশের কাছে ফোন করে জানায়, তার সঙ্গে চরমপন্থী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। রোববার আইএসও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধাই এ হামলা চালিয়েছে।
Related News

ট্রাম্পকে হারিয়ে হোয়াইট হাউজের বসছেন জো বাইডেন
জো বাইডেন প্রায় ৫০ বছর ধরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাRead More

আগামী বছর বাংলাদেশে আসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান আগামী বছর মার্চে মুজিববর্ষ উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে বাংলাদেশে আসতে পারেন।Read More
Comments are Closed