মো ফারাহর দুই ‘ডাবল’

১০ হাজার মিটার দৌড়ের সোনার পদকটা মো ফারাহ কীভাবে জিতেছিলেন, সেটা এক বড় রহস্য। দৌড়ের একপর্যায়ে ট্র্যাকে এমনভাবে পড়ে গেলেন! অন্য কেউ হলে হয়তো সেখানেই দৌড় শেষ। কিন্তু ফারাহ পড়ে গেলেন, উঠে দাঁড়ালেন এবং ১০ হাজার মিটার দৌড়ের সোনা জিতলেন। গ্রেটরা বুঝি এমনই হয়।
ব্রিটেনের এই দূরপাল্লার দৌড়বিদ নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে আগেই নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে ৫ হাজার মিটার দৌড়ের সোনার পদকটাও নিজের করে নিয়ে কিংবদন্তি হওয়ার সব বন্দোবস্ত পাকা করে ফেললেন। পরপর দুবার, ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের পর এবারের রিও অলিম্পিকেও ১০ হাজারের পর ৫ হাজার মিটারের শ্রেষ্ঠত্ব নিজের করে নিয়ে ডাবল জয়ের ‘ডাবল’ কীর্তি গড়লেন তিনি।
১৯৭৬ সালের মন্ট্রিল অলিম্পিকে এমন কীর্তি শেষবারের মতো করেছিলেন ফিনল্যান্ডের ল্যাসে ভিরেন। অলিম্পিকের দূরপাল্লার দুই ইভেন্ট ১০ ও ৫ হাজারে সোনা জিতেছিলেন পরপর দুবার (১৯৭২ মিউনিখ ও ১৯৭৬ মন্ট্রিল)। ৪০ বছর পর এমন কীর্তির পুনরাবৃত্তি করলেন ফারাহ।
এই দুই ইভেন্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও এর আগে ডাবল জিতেছিলেন ফারাহ। এবারের রিও অলিম্পিকে ফারাহ যেন নতুন করে প্রমাণ করলেন সহ্যক্ষমতার পরীক্ষা নেওয়া এই দূরপাল্লার দৌড়ে তিনি সর্বকালেরই সেরা।
দারুণ এই কীর্তির পর উচ্ছ্বসিত ফারাহ সব কৃতিত্ব দিয়েছেন নিজের প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তিকেই। বলেছেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে জয় করা যায় যেকোনো স্বপ্নকেই, ‘আবারও এমন সাফল্য দুর্দান্ত ব্যাপার। আমার মধ্যে এটা করে দেখানোর প্রতিজ্ঞাটা ছিল। আমার কাছে পুরো ব্যাপারটাই অবিশ্বাস্য লাগছে। প্রথম দিকে কেবল একটা-দুটো পদকই জিততে চেয়েছিলাম। সে হিসেবে অনেকটা পথই চলে এসেছি। যদি প্রবল ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে স্বপ্নটা কেউ দেখতে জানে, একই সঙ্গে স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যায়, তাহলে যেকোনো স্বপ্ন যে–কেউই হাত দিয়ে ছুঁতে পারবে।’ সূত্র: রয়টার্স।
Related News

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু ক্রীকেটলীগ শুরু
মানিক সরকার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরে শুরু হলোRead More

মার্ক রবিনসন নারী দলের নতুন হেড কোচ
টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ভরাডুবির পর ভারতীয় হেড কোচ আনজু জেইনের সঙ্গেRead More
Comments are Closed