ঝিনাইদহে টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মেধাবি ছাত্র সোহেলের লেখাপড়া

জাহিদুর রহমান তারিক ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ২ নং মির্জাপুর ইউনিয়ের বড়দাহ গ্রামের ভ্যান চালক বাদশার ছেলে সোহেলের টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জানাগেছে, প্রায় ৪০ বছর আগে আনিপুর গ্রামের রব্বান মোল্লা ভাটই বাজারে হারিয়ে যাওয়া ৪ বছরের একটি ছেলে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।
সে বলতে পারে না কোথায় তার বাড়ি কে তার বাবা মা। তারপর আর তার কেউ কোন খোঁজ খবর নিতে আসেনি। নাম তার বাদশা। সেই থেকে ধীরে ধীরে রব্বান মোল্লার বাড়িতে বড় হয় বাদশা। কখন ক্ষেতে দিন মজুর বিক্রয় কখন ভ্যান চালিয়ে রোজগার করে বাদশা।
এ ভাবেই একদিন ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গা ঘেসে কোন রকমে মাথা গোজার ঠাই হয় বাদশার। বাদশা আজও জানে না তার প্রকৃত তার বাবা মা কে ? বাদশা বিয়ে করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চেউনিয়া গ্রামের হত দরিদ্র মৃত আকবর মুন্সীর মেয়ে বিউটি খাতুন কে। এখানেই এদের ঘর আলো করে একে একে ৩ টি সন্তান। ভ্যান চালিয়ে ও পরের ক্ষেতে দিন মজুরের কাজ করে অনেক আসা নিয়ে তার বড় ছেলে সোহেল কে বড়দাহ দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪.৮১ পেয়ে দাখিল পাশ করে, পরে গাড়াগঞ্জ জিন্না আলম ডিগ্রী কলেজ থেকে এই বছরে ৩.৫৮ গ্রেডে মানবিকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। কিন্তু এখন আর সম্ভব হছে না সোহেলের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার। তাই ভ্যান চালক বাদশা অকুল আকুতি জানিয়ে সমাজের সহৃদয় ব্যাক্তিদের প্রতি।
বাদশার সোহেলি নামের একটি মেয়ে বড়দাহ দাখিল মাদ্রসার অষ্টম শ্রেণী ও ছোট্ট মেয়ে বড়দাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
বাদশা বলেন, সৃজনী এনজিও থেকে লোন নিয়ে ভ্যান ক্রয় করে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিয়ে পরিবারের খরচ চালিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ চালান সম্ভব না। জীবনের সাথে নিজে অনেক যুদ্ধ করেছি স্বপ্ন ছিল ছেলে কে লেখাপড়া শিখায়ে মানুষের মত মানুষ করে তুলব।
Related News

ঝিনাইদহে এক স্ত্রী দুই স্বামী!
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামে প্রবাসী কবিরের স্ত্রী তহুরা (৫৫) তিনRead More

হয় বিয়ে, না হয় আত্মহত্যা!
তারেক জাহিদ, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রাশেদ মন্ডলRead More
Comments are Closed