News Bangla 24 BD | শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত
News Head

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত


সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে অবরুদ্ধ থাকা উপাচার্যকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে আইসিটি ভবন থেকে মুক্ত করে পুলিশ। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রবিবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস আন্দোলনকারী ছাত্রীদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এসময় নিজ কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন উপাচার্য। সে সময় তার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান ছাত্রীরা। এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে ছাত্রীদের ধাওয়ায় উপাচার্য আইআইসিটি ভবনে গিয়ে অবস্থান নেন।

বিকেল ৪টার দিকে সেখানে পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা বাড়তে থাকলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে আছে সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, অবিলম্বে হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগ দেয়া। উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে শুক্রবার দাবি মেনে নেয়ার জন্য শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন ছাত্রীরা। এরপর শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ।

প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন ওই হলের ছাত্রীরা।

এ সময় উপাচার্য বাসভবন থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা হলে ফিরে যান। শুক্রবার উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার পর সমাধান না পেয়ে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে হলের পানি, সিট, ইন্টারনেট সংযোগ, খাবারসহ বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনার পর ছাত্রীরা হল প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদকে ফোন করে সমস্যার কথা জানান এবং অল্প সময়ের জন্য হলে আসার অনুরোধ করেন। এ সময় প্রভোস্ট হলে আসতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ