টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা রোধে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পাঁচ স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। জল, স্থল ও আকাশ পথে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাব সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে র্যাবের কন্ট্রোল রুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) কর্নেল জিয়াউল আহসান এ কথা বলেন।
তিনি সাংবাদিকদেরকে জানান, টঙ্গী তুরাগ পাড়ের পুরো বিশ্ব ইজতেমা মাঠের ১৮টি প্রবেশ গেইট সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতিটি গেইটে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেই সাথে বিদেশি মেহমান (অতিথিদের) নিবাসেও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
জিয়াউল আহসান জানান, বিশ্ব ইজতেমা চলাকালীন মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য র্যাবের একটি মূল কন্ট্রোল রুমসহ আরও দুটি সাব কন্ট্রোল রুম মাঠে স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইজতেমা মাঠে ৯টি অবজারভেশন পোস্ট, ৯টি ওয়ার্চ টাওয়ারের মাধ্যমে সব সময় পুরো মাঠ মনিটরিং করা হচ্ছে। সেই সাথে র্যাবের একটি হেলিকপ্টার আকাশ পথে পুরো ইজতেমা মাঠে পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া ইজতেমা মাঠকে ৩৮টি সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কর্নেল জিয়াউল আহসান সাংবাদিকদেরকে জানান, র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়ার্ট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, স্পিডবোর্ট ও মোবাইল টহল টিম সর্বক্ষণ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। তুরাগ নদীতে রয়েছে র্যাবের স্পিড বোর্ট। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাবের এ দলটি তৎপর রয়েছে। ইজতেমায় বিপুলসংখ্যক র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।