News Bangla 24 BD | যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে
News Head

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে


দেশ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি শেষ করে অনেকেই স্বপ্ন দেখেন দেশের বাইরে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শের অভাবে অনেক শিক্ষার্থীকেই হতাশায় ভুগতে হয়। যেসব শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য কিছু পরামর্শ।

এখন আগস্ট মাসের চতুর্থ সপ্তাহ। এ সময়ই সাধারণত আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফল সেমিস্টিার শুরু হয়। এরই ধারাবাহিতকায় শুরু হচ্ছে ২০১৭’র ফল সেমিস্টার।

সারা বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করছে তাদের উচ্চশিক্ষা যাত্রা। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চান্স পেয়ে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীও শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের স্বপ্নের উচ্চশিক্ষা যাত্রা।

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার খুঁটিনাটি বিষয় জানাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনার পিএইচডি শিক্ষার্থী মোর্শেদ আলম কায়ান-

# কেন যুক্তরাষ্ট্রে মাস্টার্স বা পিএইচডি করবো?

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে আসেন অনেকগুলো কারণে –

১। মার্কিন ডিগ্রী বিশ্বের যেকোনো দেশের যেকোনো জায়গায় গ্রহণযোগ্য।

২। বর্তমান বিশ্বের সেরা সেরা বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। এক কথায় বলা চলে, বর্তমান পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ সব ‘নলেজ’ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই সবচেয়ে বেশি চর্চা করা হয়।

৩। যুক্তরাষ্ট্র আসলে অভিবাসীদের দেশ। বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যার মানুষ বা কালচার সেখানে নেই। বৈচিত্র উপভোগ করা কিংবা মানুষ হিসেবে আমি আসলে অন্যদের থেকে কতটুকু আলাদা সেটা বুঝার জন্য হলেও আমেরিকায় আসা উচিত।

৪। যুক্তরাষ্ট্র আসলে বিশাল এক মার্কেটপ্লেস। উচ্চশিক্ষিত ও দক্ষ লোকদের মূল্যায়ন এখানে সব সময়ই বেশি। কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় সেখানে শ্রমবাজার অনেক অনেক বড়।

৫। উন্নত জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন গোত্রের মানুষের পারস্পারিক সহাবস্থান এখানে রয়েছে।

# কখন থেকে সেমিস্টার শুরু হয়?

সাধারণত বছরে ২টা সেমিস্টারে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

ফল সেমিস্টার ও স্প্রিং সেমিস্টার। আগস্ট মাস থেকে ফল আর জানুয়ারি থেকে শুরু হয় স্প্রিং সেমিস্টার।

ফল সেমিস্টারে আবেদনের সময় :

অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর (বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে আলাদা হয়, কখনো কখনো জানুয়ারি পর্যন্তও আবেদন করা যায়)

স্প্রিং সেমিস্টারে আবেদনের সময়:

জুলাই থেকে অক্টোবর (বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে আলাদা হয়)।

# আবেদন করতে কী কী লাগে?

– GRE (Graduate Record Exam) Score (BBA ব্যাকগ্রাউন্ড যাদের তাদের অনেক ক্ষেত্রে GRE এর পরিবর্তে GMAT (Graduate Management Admission Test) দিতে হয়। তবে বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় GRE ও গ্রহণ করে থাকে)।

– TOEFL (Test Of English as Foreign Language) অথবা IELTS (International English Language Testing System) স্কোর (যেকোন একটি)।

– Undergraduate Transcript & Certificate (BSc, BBA, BA, BBS, LLB etc.) (আমেরিকানরা ব্যাচেলরকে আন্ডারগ্র্যাড বলে ও সার্টিফিকেটকে ডিপ্লোমা বলে)।

– Recommendation Letter (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অথবা অফিসের এমপ্লয়ার থেকে)।

– Statement of Purpose (কেন এপ্লাই করছো, এই ভার্সিটিতে কেন, ওই প্রোগ্রামেই কেন, আগে কি কি কাজ করেছ – এইসব বর্ণনা করে ১-২ পৃষ্ঠার একটা মোটিভেশন লেটার)।

– Research Paper (Journal/Conference) (যদি থাকে)।

– Job Experience Certificate (যদি থাকে) ।

# সিজিপিএ কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

সিজিপিএ যত বেশি রাখা যায় তত ভালো। তবে সিজিপিএই সব কথা নয়। সায়েন্স অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডদের ৩.৫০ বা তার বেশি হলে খুবই ভালো। তবে তার চেয়ে কম হলেও খুব একটা সমস্যা নেই। এমন অনেক রেকর্ড আছে যে, ৩.১০ পেয়েও চান্স পেয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় সবেচেয়ে বেশি গুরুত্ব ২টা বিষয়।

১ Research Paper

২. Statement of Purpose

আর মাস্টার্স বা পিএইচডির ভর্তির বেশির ভাগই নির্ভর করে প্রফেসরের উপর। যদি আগে থেকেই যেখানে আবেদন করা হচ্ছে সেখানকার প্রফেসরদের সাথে কথা বলে রাখা যায় তবে তা ভর্তিতে দারুণ ভূমিকা রাখে। সূত্র: অর্থসূচক

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ